1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডেভিল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্ট: দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে গ্রেফতার অন্তত ১০০ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান গাজীপুরে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জন ঢামেকে ভর্তি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল ধানমন্ডি ৩২ এসে এক নারী ও পুরুষের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, অতঃপর…

শেখ হাসিনার শেষ পাঁচ বছরে খুনের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

সারাদেশে কোন কোন জায়গায় কতো এবং কী ধরণের অপরাধ ঘটেছে- কতো মামলা বা জিডি হয়েছে তার মাসিক পরিসংখ্যান ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। কিন্তু অজানা কারণে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩-এর ডিসেম্বর, এই সময় পর্যন্ত অপরাধ পরিসংখ্যান ওয়েবসাইটে দেয়া বন্ধ ছিল। সবশেষ নতুন আইজিপি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকরা বিষয়টি তোলার সাথে সাথেই পরিসংখ্যান ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে পুলিশ।

সেখানে মিললো ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য, আওয়ামী শাসনের সেই ৫ বছরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ১৬ হাজার ৩৫৫টি। প্রতি বছর গড়ে ৩ হাজার ৩১১ খুন। এই ৫ বছরে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ৯ হাজার ৯৫৫টি। আর ডাকাতির ১ হাজার ৬৮৫ মামলা হয়েছে। থানাগুলোতে চুরির অভিযোগ এসেছে ৫৫ হাজার। তবে বাস্তবে এসব ঘটনা আরও বেশি। কারণ অধিকাংশ চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা করতে আগ্রহ দেখান না ভুক্তভোগীরা। পুলিশের মামলার পরিসংখ্যান বলছে, শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষ ৫ বছরে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৪৫২টি।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর বলেন, অপরাধ নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পুলিশপ্রধান নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোন এলাকায় কোন ধরনের অপরাধ ঘটে কিংবা কেন ঘটে সেসব নিয়ে পুলিশ গবেষণা করে। সেই অনুযায়ী অপরাধ কমাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের পর দেশের দায়িত্ব নিয়েছে নতুন সরকার। তবে এখনও থেমে নেই অপরাধ। থানায় পুলিশ পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ায় বেড়েছে সামাজিক অপরাধ। চুরি-ছিনতাই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যও বেড়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অপরাধের খাত ধরে ধরে কাজ করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে। দ্রব্যমূল্য কমিয়ে মানুষকে স্বস্তির মধ্যে রাখলে অপরাধ কমবে বলেও মত তাদের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাগুলো অনেকটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তারা কঠোর হলে পুরোপুরি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে খুনের মতো অপরাধগুলো নির্ভর করে দেশে আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। যদি আর্থিক ও সামাজিক দিক ভালো থাকে তাহলে এসব অপরাধ কম ঘটে।

সবমিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা পারিবারিক অপরাধ। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে চায় বাহিনীটি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩