1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডেভিল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্ট: দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে গ্রেফতার অন্তত ১০০ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান গাজীপুরে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জন ঢামেকে ভর্তি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল ধানমন্ডি ৩২ এসে এক নারী ও পুরুষের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, অতঃপর…

ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমাতে হবে ১০ নভেম্বরের মধ্যে: বিটিআরসি

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন দিনের প্যাকেজের যে দাম ছিল, সেই দামেই সাত দিনের মেয়াদ দিতে হবে। দাম বাড়ানো যাবে না।

সিদ্ধান্তটি ১০ নভেম্বর রাত ১২টার মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এসব কথা বলা হয়। এ–সংক্রান্ত চিঠি অপারেটরদের পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুনভাবে প্রচলন করা বিভিন্ন মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ, হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আগ্রহে এবং বিটিআরসির নির্দেশে অপারেটরগুলো গত ১৫ অক্টোবর ৩ ও ১৫ দিনের মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজ বাদ দিয়ে দেয়। ফলে রয়ে যায় শুধু ৭, ৩০ ও অনির্দিষ্ট মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজ। এরপর অপারেটরগুলো নতুন যে প্যাকেজ আনে, তাতে দেখা যায়, মানুষের ব্যয় বেড়ে গেছে।

অপারেটরগুলো আগে থেকেই বলছিল, ৬৯ শতাংশ গ্রাহক তিন দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করেন। এটা বন্ধ করলে ইন্টারনেটের দাম ও গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে। বিপরীতে বিটিআরসির যুক্তি ছিল, ইন্টারনেটের অনেক প্যাকেজের কারণে গ্রাহক বিভ্রান্ত হন।

ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ নভেম্বর বিটিআরসির কার্যালয়ে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, এতে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইন্টারনেটের দাম বাড়ুক, সেটা তিনি চান না।

বিটিআরসি ও অপারেটর সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের পর দাম বাড়ানো হলে সে ক্ষেত্রে নমনীয় মনোভাব দেখানো হবে।

আজ যে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে তিন দিন মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম ও পরিমাণ (ভলিউম) অপরিবর্তিত রেখে শুধু মেয়াদ বাড়িয়ে ৭ দিন করার কথা বলা হয়। অর্থাৎ মেয়াদ বাড়ানো হলেও প্যাকেজের দাম বাড়ানো যাবে না। ৩০ দিন ও অনির্দিষ্ট মেয়াদের প্যাকেজের দামও বাড়ানো যাবে না।

তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ করায় অপারেটররা অসন্তুষ্ট। তারা নানাভাবে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।

অপারেটরদের পক্ষ থেকে এ–ও বলা হয়েছিল, এখন মূল্যস্ফীতি অত্যন্ত বেশি। এ সময়ে তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ হলে ইন্টারনেটের পেছনে মানুষের বাড়তি ব্যয় করতে হবে। বরং সিদ্ধান্তটি মূল্যস্ফীতি কমার পর নেওয়া যেতে পারে। সরকার অবশ্য তাতে কান দেয়নি।

মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব বলেছে, প্যাকেজ কমানো হলে দাম বাড়ার আশঙ্কার কথা বারবার বলা হয়েছিল। প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতির কারণেই তা হওয়ার কথা। বলা বাহুল্য, পদ্ধতিগত কারণে অপারেটররা যেকোনো নতুন ‘ট্যারিফ’ (মূল্যহার) গ্রাহকদের দেওয়ার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেয়। তাই মোবাইল অপারেটররা সরকারকে সহযোগিতা করছে না, এ ধরনের কোনো ইঙ্গিত প্রকাশ করা সঠিক হবে না।

অ্যামটব আরও বলেছে, ‘প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধিকতর হস্তক্ষেপ হিতে বিপরীত হবে বলে আমরা মনে করি।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩